নাসিম রুমি: সাকিব আল হাসানের চোটের মাত্রাটা আসলে কি? এক সপ্তাহ এবং এক ম্যাচ পেরিয়ে গেলেও তা এখনো অজানা। জানবেন কি করে, আনুষ্ঠানিকভাবে যে বিসিবি কিছুই বলছে না। দু’বার এমআরআই স্ক্যান করা হলেও রিপোর্টে কি এসেছে তা নিয়ে যে পর্যায়ে লুকোছাপা করা হচ্ছে, মনে হতে বাধ্য এটা রাষ্ট্রীয় কোন গোপন নথি! গত ১৩ অক্টোবর চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চোটে ব্যাট করার সময় বা পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে সাকিবের। খেলার পরই করা হয় এমআরআই স্ক্যান। এসব স্ক্যানের রিপোর্ট পেতে একদিনের বেশি সময় লাগে না। কিন্তু পরের দিন রাতে বিসিবি ফিজিওর বরাতে যে বিবৃতিতে পাঠায় তা ছিল অস্পষ্টতায় ভরপুর।
পেশির চোটের বেলায় এমআরআই রিপোর্টে দেখা হয় টিয়ার আছে কিনা, থাকলে সেটা কোন পর্যায়ের। এমন কোন তথ্য না দিয়ে বলা হয়, সাকিবকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে গত মঙ্গলবার টানা ৪৫ মিনিট ব্যাট করেন সাকিব। রানিং যদিও করেন সামান্য। তবে তিনি খেলবেন বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ম্যাচের আগের দিন তার খেলা না খেলা আরেকটি স্ক্যান রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে বলে জানান প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই স্ক্যান করা হলেও রিপোর্টের ফল রাখা হয়েছে গোপন।
ম্যাচের ঠিক ৪০ মিনিট আগে ব্যাট নিয়ে নেমে নকিং করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ওয়ার্মআপ বলে দিচ্ছিল তিনি থাকছেন ম্যাচে। অথচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাকিবকে পরে খেলতে দেখা যায়নি। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরের ম্যাচগুলোর ঝুঁকির কথা ভেবেই খেলানো হয়নি সাকিবকে। কিন্তু এবারও আড়াল করা হয় কি আছে স্ক্যান রিপোর্টে!
বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে একপেশে লড়াইয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে লিটন দাস, তানজিদ হাসানের ভালো শুরুর পরও মাত্র ২৫৬ রান করে বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারেনি।