ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাবেক ব্যাটসম্যান নবজাত সিধুর এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ৩৪ বছরের পুরোনো রোড রেজ মামলায় কংগ্রেস নেতাকে এই শাস্তি দেওয়া হলো। নির্বাচনে হারের মাসখানেক পর এই রায় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদের জন্য বড় ধাক্কা।
বৃহস্পতিবার দুই বিচারকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ৫৮ বছর বয়সী সিধুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। অবশ্য এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ আছে তার।
১৯৮৮ সালে সিধু ও তার সহযোগীর সঙ্গে হাতাহাতি করে নিহত গুরমান সিংয়ের পরিবারের সদস্যের একটি পিটিশনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেন।
তিন দশকেরও বেশি সময় আগের এই ঘটনা ও আইনি পরিণতি সিধুকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছিল। সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচনে হারের পর পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পার্কিং স্পটে পাতিয়ালার বাসিন্দা গুরনামের সঙ্গে সিধুর তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে সিধু ও তার সহযোগী রুপিন্দর সিং সান্ধু গুরনামকে তার গাড়ি থেকে টেনে বের করে মারতে থাকে। পরে মারা যান তিনি।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উচ্চ আদালত ২০০৬ সালে সিধুকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল দেয়।
২০১৮ সালে সিধু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত উচ্চ আদালতের আদেশ বাতিল করে বলেন, গুরমান ওই আঘাতে মারা গেছেন এমন প্রমাণ নেই। কিন্তু ৬৫ বছর বয়সী একজন প্রবীণ নাগরিককে আঘাত করার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাকে জেল দেন ও এক হাজার রুপি জরিমানা করেন আদালত।
পরে ভুক্তভোগীর পরিবার সুপ্রিম কোর্টকে তাদের আদেশ পর্যালোচনার অনুরোধ করেন এবং কঠিন শাস্তির দাবি জানান। সেই পিটিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান। কংগ্রেস নেতার সেই আবেদনের রায় দিলেন আদালত।