নাসিম রুমি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে সবার উন্মাদনা চরমে। হাইভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে চলছে বিস্তর আলোচনা। এ ম্যাচে ভারতকেই এগিয়ে রেখেছেন শহিদ আফ্রিদি। সঙ্গে পাকিস্তান দলকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
এদিকে এবারের আসরে পাকিস্তান আরও বেশি দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
আলোচনা-সমালোচনার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুপার ক্লাসিকোর উত্তাপ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। মেগা টুর্নামেন্টে নিয়ে যত আলোচনা তার মোক্ষম জবাব দেয়ার সুযোগ দুদলের সামনেই। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে কে জয় তুলে নিবে, কার শক্তিমত্ত্বা কতখানি, এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া শক্তিশালী এই দুই জায়ান্টদের একই মাঠে দেখা যায় না। দুদলের সবশেষ দেখা হয়েছিলো ২০২৩ বিশ্বকাপে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। সে ম্যাচে জয় তুলে নেয় ভারত।
২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়েই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মিলিয়ে ভারতে বিপক্ষে ৬টি ওয়ানডে খেলে মেন ইন গ্রিন। যার ৫টিতে হেরেছে আর একটি হয়েছে পরিত্যক্ত। সে হিসেবে দুই দলের মধ্যে ভারতকে এগিয়ে রেখেছেন শহিদ আফ্রিদি। সঙ্গে পাকিস্তান দল নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘যদি আমরা ম্যাচ উইনারদের কথা বলি তাহলে বলব ভারতের অনেক ম্যাচ উইনার নিয়ে দল সাজানো। ম্যাচ উইনার তারা, যে জানে কীভাবে একাই ম্যাচ জিতিয়ে আনতে হয়। পাকিস্তানে এমন খেলোয়াড় নেই। ভারতের শক্তি তাদের মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে। তাদের মধ্যে ম্যাচ জেতানোর সক্ষমতা আছে। আমরা খেলোয়াড়দের অনেক সুযোগ দিয়েছি। কেউই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেনি। এই জায়গাতেই আমরা ভারত থেকে পিছিয়ে।’
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সম্ভাবনা কতখানি? এমন প্রশ্ন আসলেই সবাই এগিয়ে রাখবেন মেন ইন ব্লুদের। ওয়ানডে শেষ ৫ ম্যাচে ৩টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে রিজওয়ানদের পারফর্ম ভারতকে ভোগাতে পারবে না বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান এখন ভারতের মানের কাছাকাছিও নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করেছে। আর এবার পাকিস্তান তো আরও দুর্বল। এই কন্ডিশনে সফল হতে ভালো স্পিনার দরকার, কিন্তু পাকিস্তান দলে শুধু একজন ভালো স্পিনার আছে। তারা সালমান আগা বা খুশদিল শাহকে ব্যবহার করতে পারে, তবে তা যথেষ্ট নয়। পেস বোলিংইয়েও খুব একটা প্রভাব পড়বে না।’
দুবাইয়ের ভেন্যুটা এখন পর্যন্ত ২২ ম্যাচ খেললেও পাকিস্তান জয় পেয়েছে মাত্র ৮ ম্যাচে। বিপরীতে ভারত ৭ ম্যাচে মাঠে নামলেও মাত্র ১ ম্যাচে হেরেছে।