ভারতের পেস বোলিং লাইন আপের শক্তির অন্যতম উৎস জাসপ্রিত বুমরাহ। তার দুর্দান্ত বোলিং প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের বাধ্য করে তাকে সমীহ করে খেলতে। তার দুর্দান্ত এই বোলিংয়ের পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে তার অদ্ভূত বোলিং ডেলিভারি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই বোলিং অ্যাকশনে বল করে যাচ্ছেন বুমরাহ। কখনও দরকার পড়েনি অ্যাকশন পরিবর্তনের। সব কিছুই চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে বোলিংয়ের সময় ধরা পড়ে এমন এক দৃশ্য যেটা সব বোলারদের জন্যই বিভীষিকার মতো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ী বল ডেলিভারির সময় কোনো বোলারের কনুই সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকানো যাবে। এর এক ডিগ্রিও যদি বেশি বাঁকে তাহলে সেই বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।
বোলিং অ্যাকশন বদলে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সেই বোলার ফিরতে পারে ক্রিকেটে। যদিও বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হওয়া বোলারের সংখ্যাটাও খুব একটা বেশি না। কিন্তু যারাই নিষিদ্ধ হয়েছেন সকলকেই অ্যাকশন পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিয়ে ফিরতে হয়েছে ক্রিকেটে।
এবারে সেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো বুমরাহকে। অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় বুমরাহর কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাকিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ম্যাচের পর একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেটিতে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল ডেলিভারির সময় বুমরাহর কনুই ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশ খানিকটা বেশি বেকেছে। আর তাতেই ক্রিকেটপ্রেমী, ক্রিকেট বোদ্ধা সকলের প্রশ্নবাণ গিয়ে ঠেকে বুমরাহর দিকে।
টুইট করা সেই ছবিতে বেশিরভাগ কমেন্ট ছিল, আইসিসির উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। সর্বোচ ১৫ ডিগ্রি বাকানোর নিয়ম থাকলেও বুমরাহর কনুই আরও বেশি বাকায় বোলিংয়ের সময়। ওর এই অ্যাকশন নিষিদ্ধ করা উচিত। আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অনেকে তো আভার রিতীমত হাস্যরসের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ছবিটি। একটি ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, এখন আইসিসি চোখে কালাও চশমা পড়ে আছে। কিছুই হয়নি এখানে। এটা লিগ্যাল অ্যাকশন।
আবার আরেকজন সেই টুইট রিটুইট করে লিখেছেন, বুমরাহর জন্য কি বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ম পরিবর্তন করেছে আইসিসি? বিশেষ বিবেচনায় দলে জায়গা হয়েছিল বলেই কি আইসিসির শুধু ওর জন্য বিশেষ নিয়ম?