নাসিম রুমি: বিশ্বকাপে দুর্দান্ত গতিতে এগোচ্ছে ভারত। বিশ্বকাপের একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছিল স্বাগতিকরা। নয় ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছিল রোহিত শর্মার দল। আরও একবার নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিলো তারা। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছেন ভারত।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে ভারত। ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। আর এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে স্বদেশী শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি।
এটি ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তার। শচীনের ৪৯ সেঞ্চুরিকে ছাড়িয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক এখন কোহলি। ১১৩ বলে ১১৭ রান করেন তিনি। আর আইয়ার করেন ৭০ বলে ১০৫ রান।
৩৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ৩৯ রানে জোড়া উইকেট হারায় তারা। ডেভন কনওয়ে ১৫ বলে ১৩ ও রাচিন রবীন্দ্র ২২ বলে ১৩ রান করে আউট হন।
এরপর ড্যারিল মিচেল ও কেইন উইলিয়ামসন মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে শক্ত অবস্থানে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৮১ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিচেল। তবে দলীয় ২২০ রানে ৭৩ বলে ৬৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উইলিয়ামসন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই আউট হন টম লাথাম।
এরপর ক্রিজে আসা গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মিচেল। বেশ মারমুখি ব্যাটিং করতে থাকেন তারা। তবে রানরেটে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারমুখি ব্যাটিং করতে গিয়ে আউট হন ফিলিপস।
দলীয় ২৯৫ রানে ৩৩ বলে ৪১ করে আউট হন ফিলিপস। তার বিদায়ের পর ২৬ রান যোগ করতেই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড। একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়ে কিউই ব্যাটিং লাইনে ধ্বস নামান পেসার মোহান্মদ শামি।
মিচেল দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৯ বলে ১৩৪ রান করেন। শেষ ব্যাটার লকি ফার্গুসন আউট হলে ৪৮ ওভার ৫ বলে ৩২৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ৭০ রানের জয় নিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখে ভারত।