নাসিম রুমি: গ্রুপপর্বে কেন কলকাতা টেবিলের শীর্ষে ছিল? সেই প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিয়ে প্রথম দল হিসেবে আইপিএল ফাইনালে উঠেছে নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে তারা পৌঁছেছে মাত্র ১৩.৪ ওভারে, ৮ উইকেট হাতে রেখে।
রান তাড়ায় মারমুখী মেজাজে থেকে উদ্বোধনী জুটিতে ২০ বলে ৪৪ রান তোলে কলকাতা। যাতে বেশি অবদান রহমানউল্লাহ গুরবাজের। ২৩ রানে গুরবাজ ও ২১ রানে নারিন ফিরে গেলে ভেঙ্কটেশকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার।
৭ম ওভার থেকে ১০ এর বেশি রান তুলে ৪৪ বলে ৯৭ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন দুজন। ২৪ বলে ৫৮ রান আসে শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে। ভেঙ্কটেশ করেন ২৮ বলে ৫১ রান। দুজনেই হাঁকান ৫টি করে চার ও ৪টি করে ছক্কা।
উত্তেজনার এ ম্যাচে কলকাতার সামনে নিষ্প্রভ হয়ে থাকে হায়দরাবাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৫৯ রানেই অলআউট হয়ে যান হেড-অভিষেকরা।
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী দুই ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স বনাম মিচেল স্টার্কের লড়াইয়ে বিজয়ী স্টার্ক। দ্বিতীয় বলেই ট্রাভিস হেডকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন স্টার্ক। ম্যাচে নেন ৩ উইকেট।
খালি হাতে হেডের বিদায়ের পর জ্বলে উঠতে পারেননি অভিষেক শর্মাও। ৩ রানে ফিরে যান তিনিও। তবে হায়দরাবাদকে টানছিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। হেইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে তার ৬২ রানের জুটিতে ৯ ওভারে ৯০ রান তুলে ফেলেছিল তারা। বরুন চক্রবর্তীর শিকার হয়ে ক্লাসেন ৩২ রানে ফেরার পর আন্দ্রে রাসেলের দারুণ থ্রোয়ে রাহুল রানআউট হন ৩৫ বলে ৫৫ রান করে।
এর পরই থমকে যায় রানের চাকা। শেষদিকে অধিনায়ক কামিন্সের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসে দেড়শ ছাড়ায় দলীয় সংগ্রহ। স্টার্ক ৩টি, বরুন ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান নারিন, রাসেল, বৈভব ও হার্শিত।