কী ভয়টাই না পাইয়ে দিয়েছিলেন শুরুর দিকে বোলাররা। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা রান নেবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলে ২ ওভারেই দিলেন ৯টি অতিরিক্ত রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই করলেন ৫টি ওয়াইড। মাহমুদউল্লাহ ছাড়লেন ক্যাচ।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলটিকে মনে হচ্ছিল কেমন যেন খুব অচেনা। তবে সেই অচেনা ভাব কাটিয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি টাইগাররা। সাইফউদ্দিন, সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদী হাসান বোলিংয়ে আসতেই দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে যায়। ওমানের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিমিষেই নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শেষ পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন বোলাররা এবং সব ভয় আর আতঙ্ককে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এনে দিলেন ২৬ রানের অসাধারণ এক জয়। এই জয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২৭ রানে থেমে গেছে ওমানের ইনিংস। ওমানের ওপেনার যতিন্দর সিং ৪০ ও কেশ্যব প্রজাপতি ২১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া অন্য কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
মুস্তাফিজুর রহমান ৪টি উইকেট শিকার করেছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৩টি উইকেট নিয়েছেন। মেহেদি হাসান একটি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন তিনি।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাস (৬) ও মেহেদি হাসানকে (০) হারায় বাংলাদেশ। তবে সাকিব আল হাসান ও নাঈম শেখ বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। তৃতীয় উইকেটে দুজনে ৮০ রানের জুটি গড়েন।
সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে এসেই নাঈম হাঁকান দুর্দান্ত অর্ধশতক। ৫০ বলে ৪টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেন তিনি। ২৯ বলে ৪২ রান করে রানআউটের শিকার হন সাকিব।
সাকিব-নাঈম জুটি ভাঙার পরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ১০ বলে ১৭ রান করলেও অন্য কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌছতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ওমানের পক্ষে বিলাল খান ও ফাইয়াজ বাট ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া কালিমুল্লাহ ২টি উইকেটি নেন।