দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ থেকে সুবিধা তুলতে গেলে টেকনিক কাজে লাগাতেই হবে। প্রোটিয়াদের দেশে উইকেটে থিতু হতে গেলে শট নির্বাচন করার সময়ও অনেক হিসাব করা দরকার। তা বুঝিয়ে দিল চতুর্থ দিনের খেলা। সুপারস্পোর্ট পার্কে চতুর্থ দিন ১৭৪ রানে থেমে গেল কোহলিদের দ্বিতীয় ইনিংস। দিনের শুরুটা করতে নেমেছিলেন কেএল রাহুল ও শার্দূল ঠাকুর। প্রথম সেশনের শুরুতেই শার্দূলের উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।
১০ রানের মাথায় শার্দূলের উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাডা। লোকেশ রাহুল প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এল শুধু ২৩ রান। সুইং-বাউন্স কাজে লাগাতে থাকলেন রাবাডা-জ্যানসেনরা। আর একের পর উইকেট হারাতে থাকল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চতুর্থ দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে ভারত দল। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে জয় পেতে আর ৬ উইকেট নিতে হবে ভারতের। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ২১১ রান। দলের এমন ভালো পারফরম্যান্সের মাঝে হতাশ করে যাচ্ছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কারণ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক। এবার ৩২ বলে ১৮ রান করেই বিদায় নেন তিনি। পেসার মার্কো জানসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হলেন কোহলি।
আর কোহলির আউটের এমন ধরণ দেখে মেজাজ হারান ভারতের সাবেক তারকা সুনীল গাভাস্কার। সেটিই স্বাভাবিক। কারণ বিদেশের মাটিতে এ নিয়ে টানা ১০ ইনিংসে একইভাবে আউট হয়ে ফিরলেন কোহলি। তার বারবার একই ভুল কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না গাভাস্কার।
কোহলির আউটের পর পর বিরক্তভর কণ্ঠে গাভাস্কার বলেন, দেখলাম কোহলিকে বারবার অফ স্টাম্পের বাইরেই বল করা হচ্ছিল। এটি যে পরিকল্পনা করেই, সেটি বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রথম ইনিংসের মতোই। কিন্তু লাঞ্চের পর মাঠে নেমে কোহলি খোঁচাই দিল। টেস্টে যে কোনো ব্যাটার উইকেটে থিতু হতে একটু বেশি সময় নেয়। বিরতির পর তাকে অনেক বেশি সাবধান হতে হয়। কারণ এই সময় পা ঠিকমতো নড়ে না। জলপানের বিরতির পরও নতুন করে শুরু করতে হয়। কোহলির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার নিশ্চয়ই ব্যাপারটা জানেন। কিন্তু কোহলির ব্যাটিংয়ে নিচের হাতটা বেশি চলে দেখছি। তাই বল দেখলেই সে তাড়া করে।