বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তান মানেই ভরপুর রোমাঞ্চ, আলাদা উত্তেজনা, মর্যাদার লড়াই। দুই দেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে সেই ২০১২ সাল থেকে বন্ধ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া বাইশ গজে এই দুইটি দেশের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
কিন্তু ভাবুন তো, ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা যদি প্রতিপক্ষ না হয়ে সতীর্থ হয়ে যায় । যদি বিরাট কোহলি এবং বাবর আজম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেন। যদি ভাবছেন আইপিএলের কথা তাহলে আপনার অনুমান ক্ষমতাকে শূন্য ছাড়া কিছুই দেওয়া যাবে না। অষ্টম আশ্চর্যের মতো শুনতে হলেও বাস্তবে তেমনটা হলেও হতে পারে। কিন্তু কীভাবে ?
এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল এমনই এক টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ভাবছে। নাম অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও যেখানে অংশ নেবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান দলের তারকা ক্রিকেটাররা। ২০০৭ সালে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই টুর্নামেন্ট শুরু করা হয়েছিল। যেখানে এশিয়ার সেরা ক্রিকেটাররা একটি টিমের হয়ে লড়াই করতে নামতেন। ফের অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ শুরু করার পরিকল্পনা করছে এসিসি। এই পরিকল্পনা সফল হলে একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলি, বাবর আজম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকিবাল, রশিদ খান, মোহম্মদ রিজওয়ানদের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এসিসি’র কমার্শিয়াল ইভেন্টের প্রধান প্রভাকরণ থনরাজ বলেছেন, ক্রিকেট বোর্ডগুলো নিশ্চিত না করলেও কথাবার্তা চলছে। ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার অঞ্চলের বেশ কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে এশিয়া ইলেভেন দল তৈরি করে মাঠে নামানোর ইচ্ছে রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেই স্পনসরশিপ এবং সম্প্রচার নিয়ে কথাবার্তা শুরু হবে।
এসিসি’র মুখ্য কার্যকারী দামোদর বলেছেন, খেলোয়াড়দের এক ছাতার নীচে নিয়ে আসতে পারলে ভালো লাগবে। ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের একসঙ্গে ময়দানে নামতে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীরা।”
এসিসি পরিকল্পনা করলেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলির ক্রিকেট বোর্ড এ নিয়ে কতটা সম্মতি দেবে তাতে ঘোর সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের আশা, ক্রিকেটের মাঝে রাজনৈতিক সমস্যা বাধা হবে না। ক্রিকেটাররাও এমনটা চাইবেন বলেই আশা তাদের।