English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

আফগান বোলারদের বিপক্ষেই আসল লড়াই টাইগারদের

- Advertisements -

শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তানের ৮ উইকেটের জয় দেখে যারা ভাবছেন, বাংলাদেশ পারবে না- তাদের জন্য রয়েছে আশার খবর। বেশিদিন আগের কথা নয়। এই মার্চেই নিজ মাটিতে আফগানদের মাটিতে নামিয়ে এনেছিল টাইগাররা। মিরপুরে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের স্পিন জাদুতে বেসামাল নাকাল হয়েছে মোহাম্মদ নাবির দল।

ম্যাচে ১০ রানে ৪ উইকেট দখল করেছিলেন নাসুম। বাংলাদেশ পেয়েছিল ৬১ রানের বড় জয়। কাজেই শ্রীলঙ্কাকে ১০৫ রানে আটকে রেখে ৫৯ বল আগে আফগানদের জয় দেখে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। ঐ ম্যাচের পারফরমেন্স দেখে দুই দলের শক্তি ও সম্ভাবনা বিচার করা হবে বড় ভুল।

ক্রিকেটে এমন হয়; যেদিন এক দল বেশি খারাপ খেলে, অন্য দলকে মনে হয় অনেক বেশি ভালো দল। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনেক বেশি খারাপ খেলেছে। তাদের টপঅর্ডার দাঁড়াতেই পারেনি। বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকির বোলিং তোপে ৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে সেই যে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল লঙ্কানরা, আর সামনে আগাতে পারেনি।

আসলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম ৫-৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচে ফেরা কঠিন। সে ম্যাচে লঙ্কানরাও শুরুর ধাক্কা সামলে আর গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তাই ম্যাচ একতরফা হয়ে গেছে। সেই খেলার চালচিত্র দেখে আফগানদের অনেক ভালো দল ভেবে বাংলাদেশকে খাটো করাটা ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যায় যুক্তিযুক্ত নয়।

আজ শারজায় কেমন খেলে বাংলাদেশ? সাকিব আল হাসানের দলের শরীরী ভাষা কেমন থাকে, তাদের ভালো খেলার তাগিদ কতখানি থাকবে এবং সর্বোপরি টাইগাররা সময়মতো নিজেদের করণীয় কতটা দক্ষতার সঙ্গে পালন করতে পারবে, তার ওপরই নির্ভর করবে ম্যাচের ভাগ্য।

তবে এটি সত্য যে, ম্যাচে টাইগারদের প্রধান প্রতিপক্ষ আফগান বোলিং। শারীরিক দিক থেকে সুঠাম, জাতিগতভাবে সাহসী আফগানদের মাঠে যতটা ড্যাশিং দল বলে মনে হয়, তার মূলে তাদের বোলাররা। বোলিংই দলটির চালিকাশক্তি। পেস-স্পিন দুই ডিপার্টমেন্টই সমান সমৃদ্ধ, বোলিং অপশনও অনেক বেশি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফারুকি ও নবীন উল হককে অনেক কার্যকর মনে হলেও অপর পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও সমীহ আদায় করে নিয়েছেন। এদের সঙ্গে তিন কোয়ালিটি স্পিনার রশিদ খান, মোহাম্মদ নাবি ও মুজিব উর রহমান- যাদের বিপক্ষে হাত খুলে খেলা কঠিন। তাদের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অনেক।

বিশ্বের প্রায় সব নামিদামি আসরে অংশ নেওয়া এ তিন স্পিনার যেকোনো দলের জন্যই মাথাব্যথার কারণ। এতগুলো কোয়ালিটি বোলার থাকার কারণেই আফগানদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাফল্য বেশি। যেহেতু দলে বোলিং বৈচিত্র ও অপশন অনেক, তাই আফগানদের বিপক্ষে বোলারদের চড়াও হতে দিলে পেরে ওঠা কঠিন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আফগানরা বোলিং দিয়েই প্রতিপক্ষকে ঘায়ের করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তাই আফগান বোলিং সামাল দেওয়ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে টাইগারদের। বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদি শ্রীলঙ্কার মতো ব্যাটিংয়ের শুরুতে নবীন ও ফারুকিকে অকাতরে উইকেট দিয়ে বসেন, তাহলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হবে।

তখন একে একে রশিদ, মুজিব ও নবিরা চেপে বসবেন আরও। তাই প্রথম কাজই হবে আফগান বোলারদের শুরুতে উইকেট না দেওয়া বা যতটা সম্ভব কম উইকেট দেওয়া।

এখন দেখার বিষয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের মতো আজও অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস দিয়ে বোলিং শুরু করেন কি না? ফারুকি ও নবীন শুরু করলে তাদের দেখে খেলাটা হবে প্রথম কাজ।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেট কিংবা এক উইকেটে ৪০+ রান করতে পারলে পরবর্তীতে রশিদ, নাবি ও মুজিবকে স্বচ্ছন্দে খেলার পথ তৈরি হবে। এখন দেখার বিষয় ওপেনিংটা কেমন হয়?

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন