নাসিম রুমি: দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দল সেই অপবাদ এবার ঘুচলো। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা।
সেমিফাইনালের মতো বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে পারেনি আফগানিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫৬ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ৯ উইকেট ও ৬৭ বল হাতে রেখেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যে কোন ফরম্যাটেই এই প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসির ইভেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পথে দ্বিতীয় ওভারে কুইন্টন ডি কককে (৫) হারায় প্রোটিয়ারা। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ওপেনার।
চার বল পর নাভিন-উল-হকের (২.৪ ওভার) বলে উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গুরবাজের গ্লাভসে জমা পড়েছিল বল। কিন্তু গুরবাজ টের না পাওয়ায় আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও রিভিউ নেননি। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি।
দ্বিতীয় উইকেটে রেজা হেনড্রিকস ও মার্করামের ৪৩ বলে ৫৫ রানের জুটিতে সহজ জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেনড্রিকস। ২১ বলে ২৩ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
টি-টোয়েন্টিতে ৫৬ রান আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি। পুরুষ টি-টোয়েন্টির যে কোন নকআউট ম্যাচে সর্বনিম্ন সংগ্রহ। আফগানদের লজ্জা দিয়েই স্বপ্নের ফাইনালে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেন ইনিংসের শুরুতে ৩ ওভারের স্পেলে ১৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন ইয়ানসেন।