চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের, জেলা আইনজীবী প্যানেল ও জেলা লোকমোর্চার পক্ষ হতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও জেলা লোকমোর্চার সভাপতি এ্যাড,আলমগীর হোসেন এবং সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শাহ আলম সনির নেতৃত্বে একদল আইনজীবীর প্যানেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী দামুড়হুদার মাদরাসা পাড়ার মাহিদ হোসেনের ছেলে ইকবাল,একই এলাকার নুর আলমের ছেলে আশিক এবং নিহতের পিতা মমজেদ হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী প্যানেলের সামনে তাদের বক্তব্য পেশ করেন।
এর আগে নিহত নাসুর বাবা দামুড়হুদা গুলশানপাড়ার মমজেদ হোসেন দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক নাসরুল্লাহ ওরফে নাসুকে (২৯) পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা দিয়ে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করে দামুড়হুদার মডেল স্কুলের শিক্ষক শরীফ উদ্দীন।
২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় দামুড়হুদার ব্রাক মোড়ের অদূরে আখ সেন্টারের কাছে ট্রাকচাপায় নাসুর মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি হত্যা মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগকারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিবেশী শরীফ উদ্দীন মাস্টারের গৃহশিক্ষক ছিল নাসু। এক পর্যায়ে শরীফ মাস্টারের দ্বিতীয় স্ত্রী রত্না খাতুনের সাথে নাসুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেটা জানার পর পিতা মমজেদ হোসেন ছেলে নাসুকে শরীফ মাষ্টারের বাড়ি যেতে ও তার ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে শরীফ মাস্টার স্ত্রীর প্রেমিক নাসুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। স্ত্রী রত্না খাতুনকে দিয়ে ফোনে নাসুকে ডেকে নেয় দামুড়হুদার আখ সেন্টারের কাছে। সেখানে শরীফ মাস্টার এবং তার দুই ছেলে মো.তাহমিদ ও আমজাদ হোসেন এসে নাসুর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে একটি দ্রুতগামি ট্রাক আসতে দেখে তারা নাসুকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাকের নিচে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাসু। এসময় স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে অভিযুক্তদের দেখেছেন বলেও অভিযোগে দাবী করা হয়েছে।
মমজেদ হোসেন বলেন, আমি আমার ছেলেকে ফিরে পাবো না জানি। তবে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিচার চাই।