হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০২০ সালে করা একটি মামলায় তাকে আগামীকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিএমপির পল্টন, মতিঝিল থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
মোহাম্মদপুরের মামলার বিষয়ে ডিসি হারুন বলেন, আমরা এই মামলাটি তদন্ত করছিলাম। তদন্তে মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। সে জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
মামুনুলকে গ্রেপ্তারে কোন বাধা বা চাপ ছিলো কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাধা আমরা পাইনি। পুলিশ তাকে আগে থেকেই নজরদারিতে রেখেছিল।
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শিক্ষকতা করেন ওই মাদ্রাসায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ধরা পড়ার পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। এ ঘটনার পর হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, মামুনুল হককে গ্রেফতারের জন্য আমরা গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। অবস্থান শনাক্ত করা গেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ৯ নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মাওলানা যুবায়ের আহমেদ ও শনিবার (১৭ এপ্রিল) মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ নামে হেফাজতের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।