প্রতারণা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তার জামিন তথা কারামুক্তির কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। পরে কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। ফলে গ্রেপ্তারের ১৩ দিন পরে কারামুক্ত হলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
এর আগে, বুধবার বিকালে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দেওয়ার তথ্য জানান।
প্রতারণা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়া হেলেনা ২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে তাকে রাইটার হিসেবে কাজ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৯ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়। সেসব মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। পরে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে জামিনে মুক্তি পান হেলেনা।
২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। এ মামলায় গত ২০ মার্চ হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। প্রতারণার মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারকে সাজা দেওয়া হয়।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের উপকমিটির নেতা ছিলেন। ২০২১ সালে গ্রেপ্তারের পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।