মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁস মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। চুরির একটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন মোহাম্মদ বশির ও ইসমাইল হোসেন।
বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক লোকমান। অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশ, মারধর, চুরি ও চুরিতে সহায়তার অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন এস এম মহিবুল্লাহ মহিউদ্দিন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মেসির ৪৮ ভাগ শেয়ারের মালিক।
সে হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে ফার্মেসি ব্যবসা করে আসছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পর স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী কিছু ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই ব্যারিস্টার ফখরুলের হুকুমে ফার্মেসির ক্যাশ থেকে ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও দুই কোটি টাকার ওষুধ নিয়ে যান আসামিরা।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় তিনি একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন। মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্তমান চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসাকেও আসামি করা হয়।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ছিলেন।