ফরিদপুর সদরের তাইজউদ্দীন মুন্সীর ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিক্ষকের সন্ধান এক সপ্তাহেও মেলেনি। তাদের সলিল সমাধি হয়েছে মর্মে পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ শিক্ষক আজমল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা আক্তার ও আলমগীর হোসেনের স্ত্রী জোবাইদা জেসমিন জিডি দুটি করেন।
এ সময় সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেলোয়ার হোসেনসহ শোকাহত পরিবারের অভিভাবক ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ২৯ আগস্ট উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে ট্রলার নিয়ে এখনো দুই শিক্ষককে পদ্মায় খুঁজছেন স্বজন ও সহকর্মীরা।
জিডি থেকে জানা যায়, ২৫ আগস্ট নৌভ্রমণে গিয়ে সিঅ্যান্ডবি ঘাটের ৩ নম্বর জেটির কাছে শিক্ষক আজমল হোসেন ও আলমগীর হোসেন আকস্মিক ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় ধারণা করা হয় তাদের সলিল সমাধি হয়েছে।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, আকস্মিক ট্রলারডুবি ও দুই শিক্ষকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। তবে আমরা সর্বদা সতর্ক ও তৎপর আছি, কোনো সন্ধান পেলেই তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফরিদপুর শহর থেকে বিকেল ৩টায় ট্রলার ভাড়া করে পদ্মায় ভ্রমণে যান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ জন শিক্ষক। সন্ধ্যায় ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তীব্র স্রোতের মুখে ৩ নম্বর পন্টুনের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষকদের বহন করা ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারচালকসহ ১২ জন শিক্ষক সাঁতারে পাড়ে উঠতে পারলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, নৌ-পুলিশ, ডুবুরি দল গত পাঁচদিন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে এবং রোববার (২৯ আগস্ট) নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান সাময়িক সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।