সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সিনহা হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেছেন বিচারক। আজ দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রায় পড়া শুরু করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই হত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত বলে আখ্যায়িত করেছেন বিচারক।
আদালতের এজলাসে সিনহার বোন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও তার স্বামী উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে দুপুর ২টার দিকে ওসি প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যান করে কক্সবাজার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে আলোচিত এই মামলার ৩০০ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক ইসমাইল হোসেন।
আদালতে উপস্থিত ১৫ আসামি হলেন বরখাস্ত হওয়া টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী (৩১), টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮), বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)।