পরীমণিকাণ্ডে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে সিটি ব্যাংক লি.। সোমবার ব্যাংকটির হেড অব কোর্ট অপারেশন গাজী এম শওকত হাসান রাজধানীর গুলশান থানায় এই জিডি করেন। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।
জিডিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন অভিনেত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার বেশ কিছু মানুষের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এসব সংবাদের মধ্যে দ্য সিটি ব্যাংক লি.-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলেও মিথ্যা তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এই তথ্যকে পুঁজি করে সমাজের কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি, অসাধু শ্রেণির প্রতারক ও চাঁদাবাজ শ্রেণির লোক বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেজেহাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে অথবা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এরূপ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন করাসহ ব্যাংক থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ লাভের আশায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের হয়রানি করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অজ্ঞাতনামা স্বার্থান্বেষী মহলের এসব কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, মানসিক উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরীমণি ইস্যুতে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের তালিকার কথা বলে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে নেমেছে। এই চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকার তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে।
একইসঙ্গে বেশ কিছু গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে অভিনেত্রী পরীমণি সখ্য, অডিও রেকর্ড কিংবা গাড়ি উপহার দেওয়ার তথ্য। তবে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলার অভিযোগ ও তাকে ‘গাড়ি উপহার’ দেওয়া সংক্রান্ত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন। রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে একটা ‘সস্তা’ ষড়যন্ত্র চলছে।’’