জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান তালুকদার।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি মো. হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মীর সরাফাত আলী সফু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-সভাপতি মীর আশরাফ আলী আজম, ছাত্রদলের ইছহাক আলী সরকার, এসএস মো. মিজানুর রহমান, মো. আনিছুর রহমান সীমান্ত, মামুনুর রশিদ মামুন, আসাদুজ্জামান আসাদ ও মেহরাব আলম মিঠু।
এ মামলার অভিযোগ পত্রে ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা অনশন করেন। এ সময় তারা বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে ইট-পাটকেল ছোঁড়েন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। তাদের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা এবং জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এরপর তারা সরকারি কাজে বাধা দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এমনকি তারা পুলিশ সদস্যের ওপর আক্রমণ ও মারপিট করেন। এতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিকুল ইসলামের টি-শার্ট ছিঁড়ে যায় এবং কনস্টেবল শহিদুল ইসলামের আইডি কার্ড হারিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মতিঝিল জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।