নগরের বায়েজিদ এলাকার এক ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ধরে এনে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় ও ২৫ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগে বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামসহ আট পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
১৯ আগস্ট ২০২০ বুধবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. আবদুল ওয়াহেদ নামে এক ব্যবসায়ী।
২৯৩/২০ নাম্বার মামলাটি আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনারকে (উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, এসআই মো. নুর নবী, এএসআই অমিত ভট্টাচার্য্য, এএসআই মো. শরীফুল ইসলাম, এএসআই মো. আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও ফৌজুল করিম এবং পুলিশের সোর্স ডোনার রুবেল।
মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, ১৩ জুলাই রাতে বায়েজিদ থানাধীন মুরাদনগর জামাল কলোনী এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে কথা বলার সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বাদিকে থানায় ধরে নিয়ে যান। এ সময় বাদিকে মারধরও করেন অভিযুক্তরা। বাদির সঙ্গে থাকা আরও তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যেকের মুক্তির জন্য ২ লাখ টাকা করে দাবি করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন। স্বজনরা থানায় দেখা করতে গেলে তাদের থেকেও ৫ হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্তরা। পরে বাদি মো. আবদুল ওয়াহেদকে ২৫ পিস ইয়াবা, তার সঙ্গে থাকা মো. হোসেনকে ২০ পিস, মো. হানিফকে ১৫ পিস ও আবুল হোসেনকে ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেন।
এছাড়া আদালতে চালান দেওয়ার আগে বাদি মো. আবদুল ওয়াহেদের মানিব্যাগ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, মো. হোসেনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে ফেলে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন বাদি মো. আবদুল ওয়াহেদ।
অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর বলেন, বায়েজিদ এলাকার ব্যবসায়ী মো. আবদুল ওয়াহেদকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় ও ২৫ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগে বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামসহ আট পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনারকে (উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন