রাজধানীর গুলিস্তানে দুর্ঘটনাকবলিত বাস সরাতে গিয়ে পুনরায় দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এমদাদুল হক পল্টন থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় নিহত তুষারের বাবা শুক্রবার সকালে বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮ ও ১০৫ ধারায় পল্টন থানায় একটি মামলা করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে গুলিস্তানের সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনের সড়কে দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শুকুর মাহমুদ বাবুল ও রাইসুল কবির তুষার নিহত হন।
বৃহস্পতিবার রাতে পল্টন থানার ডিউটি অফিসার এসআই শামীম হোসেন জানিয়েছিলেন, ঘটনার শুরুটা হয় রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে। সেখানে শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় ওয়ারী থানার কনস্টেবল নাসির উদ্দিন গুরুতর আহত হন। আহত কনস্টেবলকে উদ্ধার করে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ঘটনার পর বাসের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় ফ্লাইওভারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
যানজট কমাতে এএসআই এমদাদুল হক নিজেই বাসটি চালিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বাসটি যে ব্রেক ফেল ছিল তা তিনি জানতেন না। বাসটি আহাদ পুলিশ বক্সের কাছে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারের ওপর ওঠে যায়। এতে চার পথচারী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এএসআই এমাদুল হককে আটক করা হয়েছে বলেও জানান শামীম।
আটক এএসআইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এএসআই এমাদুল হক পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি শুরু করেন। তখন তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের গাড়ি চালাতেন। তখন থেকেই তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল এবং গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতাও ছিল। পরে এমাদুল পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হন।