আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে করা রিট খারিজ করে রবিবার (৪ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুননিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
পরে আইনজীবীরা বলেন, পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবে। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।
এর আগে গত ২৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একই সঙ্গে রিট আবেদনে কোটা আন্দোলনের ছয় জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিট আবেদনের ওপর দুই দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি ছুটিতে থাকায় গত সপ্তাহের বুধবার ও বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি হয়নি।
প্রসঙ্গত, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহিংসতা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।