কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী ডলি খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজের (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ কোটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে ডলি খাতুনের সঙ্গে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসাদুজ্জামান কামালের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডলির সঙ্গে কামালের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর মধ্যেই ডলি মিরপুর থানার তালবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পর থেকে ডলির ওপর কামাল নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন।
পিপি অনুপ আরও বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে কামালের সঙ্গে স্ত্রী ডলির কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে কামাল ডলিকে গলা টিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত ডলির বাবা বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গ্রেফতারের পর স্ত্রী ডলিকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন কামাল। কামালকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে ২৬ জুন মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা দেন।