প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন হয়নি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জর হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী আসাদুজ্জামান ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
পরে আইনজীবী মেজবাহ বলেন, ‘জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিবিধ আবেদন করতে হবে। সে আবেদনেও বিএনপি মহাসচিবের জামিন চাওয়া হবে।’সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত বছর ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।ওইদিন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু আবেদনটি নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।এরপর গত বছর ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত জামিন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর আবেদনে শুনানির পর মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন হাইকোর্ট।
কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১০ জানুয়ারি তা খারিজ করে দেন। গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় নিম্ন আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় আটকে আছে তাঁর কারামুক্তি।