English

26 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা: ফের রিমান্ডে ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য

- Advertisements -

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ সাত পুলিশ সদস্যের আরও চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর এএসপি খায়রুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মামলার মূল অভিযুক্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে র‌্যাব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল আলম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। রিমান্ড শেষে আজ আদালতে তোলা প্রধান তিন আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল এবং ইতোমধ্যে রিমান্ড সম্পন্ন হওয়া চার পুলিশ সদস্যের আরও সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত সবার চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
অন্য চার পুলিশ সদস্য হলেন বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বিভিন্ন সময় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কক্সবাজারের আদালত।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক রয়েছেন। তাদের নামে কোনো পুলিশ সদস্য কক্সবাজারে কর্মরত নেই বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। কিন্তু এ দুই আসামির পরিচয় শনাক্তে জেলা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছে র্যাব।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন