রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ২৫ মে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
অপর চার আসামি হলেন—হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। এ সময় জামিনে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইনজীবী এএইচএম শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম।
জয়যাত্রা টেলিভিশনের ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন গত বছরের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির জেলা সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে, তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২৯ জুলাই গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাব জানায়, অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ মদ, হরিণের চামড়া, ওয়াকিটকি, বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে গুলশান ও পল্লবী থানায় পাঁচটি আলাদা মামলা করা হয়। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে গত বছরের নভেম্বরে কারামুক্ত হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।