ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায়ও তাকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন দুই মামলায় আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম (জেডআই) খান পান্না এবং এএম জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম মনির।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২৫ জানুয়ারি রাকার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ৭ নভেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা পৃথক দুই মামলায় নুসরাত শাহরিন রাকা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আজ দুই মামলাতেই জামিন পেলেন তিনি।
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে রাকাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। পরে র্যাব সদস্যরা জানান, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, বিদেশে অবস্থানকারী একটি চক্র দেশে থাকা ‘এজেন্টদের যোগসাজশে’ ভার্চুয়ালি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, এমন বিষয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরে আসার পর তাদের ধরতে তৎপরতা বাড়ানো হয়। ভাইকে (ড. কনক সারোয়ারকে) সাহায্য করতে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাকা।
এরপরই রাকার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র্যাব।
গত ৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন এবং মাদক মামলায় দুদিনসহ রাকাকে মোট পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১২ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।
এ দুই মামলায় গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ নুসরাত শাহরিন রাকার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।