জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের সদর উপজেলার বম্বু ইউপির কাদিরপুর গ্রামের রাস্তার পাশে এক রিকশা চালকের লাশ উদ্ধারের মামলায় দুইজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, তা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে একই মামলার আরেকটি ধারায় তাদের আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের হিচমী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আ. বারিকের ছেলে জুয়েল (৩৮) ও একই গ্রামের সিরাজউদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল (৪০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলা শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন জয়পুরহাট সদরের মাগনীপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (১৫)। গত ২০০২ সালের ২৯ জুন দুপুরে ফারুক বাড়ি থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়ে আসলে আর বাড়ি ফেরননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাননি। ওই বছরে ১ জুলাই বম্বু ইউপির কাদিরপুর গ্রামের রাস্তার পাশে একজনের লাশ পাওয়া গেছে এমন সংবাদ শুনে ফারুকের বাবা জালাল উদ্দিন সেখানে যান।
ওখানে ফারুকে লাশ শনাক্ত করতে সক্ষম হন ফারুকে বাবা জালাল উদ্দিন। এরপর ফারুকের বাবা জানতে পারেন আক্কেলপুর থানা পুলিশ জুয়েল ও মাহমুদুল নামের দু’জনকে রিকশাসহ আটক করে কোর্টে প্রেরণ করে। ফারুকের বাবা থানায় গিয়ে রিকশাটি তার ছেলে ফারুকের বলে শনাক্ত করেন।
পরে তিনি বাদী হয়ে সেইদিনই ওই দুইজনকে আসামি করে জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জয়পুরহাট থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল মামলাটি তদন্ত করে ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এ মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক পলাতক ওই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।