English

20 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

স্ত্রীকে মারধর-যৌতুক দাবি: ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

- Advertisements -

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১-এর ‘গ’ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।

এদিন আল-আমিন আদালতে হাজিরা দেন। আদালত ‘চার্জশিট দেখিলাম’ বলে তাতে সই করেন। এরপর মামলাটির পরবর্তী বিচারকাজের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তা মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধরের ঘটনার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল-আমিন জানান, তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।

মামলায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন আল-আমিন। পরদিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায়ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮ নম্বর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আল-আমিন জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন