English

23 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

স্ত্রীকে নির্যাতন: স্থায়ী জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন

- Advertisements -

যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকার ৮ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন আল-আমিন।

আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলেন আদালত। আজ হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮ নং আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা। ১৩ অক্টোবর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

‘ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধর করার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।’

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল-আমিন জানান, তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবে না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন