সাভারে স্কুলছাত্রী নিলা রায়কে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় নিহতের বাবা নারায়ন রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত যুবক মিজানুর রহমান, তার বাবা আব্দুর রহমান, মা নাজমুল নাহার সিদ্দিকার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, গতরাত থেকে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালালেও এখনো অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কাজিমুকমাপাড়ার পাশের এলাকা ব্যাংক কলোনির আবদুর রহমানের ছেলে কলেজছাত্র মিজান। নীলা রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার ভাই অলক রায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাসা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর মিজান রিকশার গতিরোধ করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে নীলাকে রিকশা থেকে নামিয়ে একটি টিনসেট ঘরের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। নিলা সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ছিলেন।
নীলার মা মুক্তি রায় বলেন, মিজানের মা-বাবাকে বলার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এক পর্যায়ে মিজানের অত্যাচারে বছরখানেক আগে তারা সাভারের বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের বালিরটেকে চলে গিয়েছিলেন। ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার জন্য কয়েক মাস পরে আবার তারা সাভার চলে আসেন। এর কিছুদিন পর থেকে মিজান আবার তার মেয়ের পিছু নেন।
সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার জামিল তদন্তের ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে পরিত্যক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় কয়েক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তাদের মধ্যে স্থানীয় ও নিলার স্বজনরাও রয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনাস্থলে ঘরের ভেতরের বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির এই তদন্ত দল।
সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে হত্যা
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন