নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। মামলায় শামীম ওসমান ছাড়াও আরও ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আদালতের আদেশে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর আলম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পুত্র গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, রূপগঞ্জের তারাব পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মনির খান সুমেল, তারাব পৌর যুবলীগের সহসভাপতি মহাসিন ভূঁইয়া, পৌর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সিয়াম, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ খান, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মেহের, যুবলীগ নেতা রাব্বী, রায়হান কবির সুমন, রাকিব মিয়া, আল আমিন, তৌহিদুল ইসলাম, ফয়সাল কানন, বাপ্পী, জাহিদ হাসান, মেহেদী হাসান, মাহিনুর রহমান, ইলিয়াস, ফিরোজ ভূঁইয়া।
সুনামগঞ্জ জেলার সদরের পার্বতীপুরের আফতাব মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বাদী লিটন মিয়া গত ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ৯ মার্চ আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর ভাই আহত মিজান গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় আসামিরা মিজানসহ অন্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে গুরুতর আহত করেন।