পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানার নাশকতার এক মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) মো. হানিফ, এমএ আউয়াল খান, এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু, মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজু, মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সামসুল হক মিয়াজী, মো. বিপ্লব, মো. খুরশিদ আলম মমতাজ, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. মাহাবুব।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর (রোববার) সকালে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই দিনই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এরপর আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।