চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানা এলাকার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের দায় প্রমাণিত হওয়ায় মো. একরামুল হক (৬২) নামের এক অটোরিকশাচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে দণ্ডিত আসামিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৭-এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি এজলাসে হাজির ছিলেন।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি হিঙ্গুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মৃত ছাদিক রহমানের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। জরিমানার অর্থ শিশুর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বিকেলে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিশুকে আচার ও চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু ধর্ষণের দৃশ্য স্থানীয়রা দেখে তাড়া দিলে ধর্ষক পালিয়ে যান। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার দুই দিন পর ৭ আগস্ট জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুর মা। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২০ সারের ১২ অক্টোবর অভিযোগ করে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত রায় ঘোষণা করেন।