ফরিদপুরের নগরকান্দায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহীদুল ইসলামের সমর্থক কবির ভূঁইয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুকে (৫২) আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ১টার দিকে নগরকান্দা থানায় নিহত কবির ভূঁইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম (৪৪) বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
নগরকান্দা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, নিহত কবির ভূইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৪ আগস্ট) এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সহসভাপতি আলমগীর হোসেন বকুল, কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান তৈয়ব, হেলালউদ্দীন হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শরিফসহ মোট ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) কৃষক দল নেতা শহীদুল ইসলামের মোটর শোভাযাত্রা করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা চৌরাস্তা হয়ে নগরকান্দা উপজেলা সদর ও তালমার মোড় হয়ে ফরিদপুর শহরে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নগরকান্দা সদরে শামা ওবায়েদের সমর্থকরা শহীদুল ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলা করে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এবং বাজারে সশস্ত্র মহড়া দেয়। এ হামলায় শহীদুল ইসলামের সমর্থক নগরকান্দা পৌরসভার ছাগলদী মহল্লার বাসিন্দা কবির ভূঁইয়া নিহত হন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলি, এই খুনের নির্দেশদাতা শামা ওবায়েদ ইসলাম। স্পষ্টভাবে আমি এ কথা বলছি। তিনিই খুনের মদদদাতা, নির্দেশদাতা।’
এ প্রেক্ষাপটে বুধবার (২১ আগস্ট) রাতেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা দুই পত্রে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ শহীদুল ও শামা ওবায়েদের সকল পদ স্থগিত করেন।