বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল বক্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলা গ্রহণের উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যারিস্টার-এট-ল’ ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। জাইমা রহমানের দাদা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দাদি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মামলায় বলা হয়, ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং নাহিদ উপস্থাপক। গত ১ ডিসেম্বর ডা. মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার নেন নাহিদ। ডা. মুরাদ হাসান সেটি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারীবিদ্বেষী এবং নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা ব্যবহার করেন। জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর একই আদালতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ফারুক ফারুকীও মামলার আবেদন করেছিলেন। পরদিন আদালত তা খারিজ করে দেন।