প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
আজ দুদুকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম । দুদুর পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় পলাতক অপরাপর আসামিদের যোগসাজশে সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশে যোগ দেন শামসুজ্জামান দুদু। তিনি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রোণোদিতভাবে পল্টন থানার বিএনপি অফিসের সামনের সমাবেশের স্টেজে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
ওই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিরা মূল সমাবেশস্থল ছেড়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ মিছিল করেন। এ সময় তারা গণপরিবহনের একাধিক বাস, পাবলিক পিকআপ গাড়ি এবং পুলিশের ব্যবহৃত বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে সেখানে অবস্থানরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অসংখ্য পুলিশকে আহত করেন।
আসামি শামসুজ্জামন দুদু বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা। তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রত্যক্ষ মদদে অপরাপর আসামিরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পূর্ব পাশের গেট ভেঙ্গে বাসভবনে প্রবেশ করেন। এ সময় এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাসভবনের নামফলকসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করেন। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এর আগে গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল শামসুজ্জামানের বড় বোনের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।