বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আরও একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ২০১১ সালে দায়ের করা ওই মামলা থেকে বিএনপির আরও ১৫ নেতাকর্মীকে খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে এই আদেশ দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাইফুল এলাহী। মামলার শুনানিতে আসাসিপক্ষে অংশ নেন এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না ও সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রশিদ।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়েছে। ওই মামলায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন স্পেশাল আদালত। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় সালাহউদ্দিন আহমদসহ অন্যদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এ মামলায় বিএনপির শুধুমাত্র চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। তারা হলেন- হেফাজতুর রহমান টিপু, জিয়াউল কবির, ইমরুল হাসান হান্নান ও মৌলভী রফিক আহমদ।
খালাস পাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আছেন জয়নাল, রুবেল বড়ুয়া, আজিজুল হক, জালাল উদ্দিন, আবদুর রহিম, নুরুল আমিন, জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম, সাইফুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ ওরফে রাইফেল সেলিম, ইব্রাহিম খলিল, মো. হোছন, মো. বাবুল, সাইফুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম ও মনজুর আলম।
এ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ ইতিমধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দায়ের করা তিনটি মামলায় বেখসুর খালাস পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে ২০১১ সালের ৩ জুন চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই সময় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াই হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় সালাহউদ্দিন আহমদকে ৭নং আসামি করা হয়েছিল। মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে অন্য সবাইকে পলাতক দেখিয়ে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।