সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চার জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (৬ নভেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
মামলার অপর দুই আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
পিআইবি প্রধানের অভিযোগে বলা হয়েছে, জেল হাজতে আটক থাকা সাবেক এসপি বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করাসহ বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উপরোক্ত আসামিরা হীন উদ্দেশ্যে দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেসবুক আইডি থেকে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ভিডিওক্লিপ আপলোড করেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন স্ত্রী হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। পিবিআই হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে চট্টগ্রাম মহানগর জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে তিনি মামলার আবেদন করেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন।