বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় চাঞ্চল্যকর জাকির হোসেন নামের যুবক হত্যা মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় মেম্বার প্রার্থী ফেরদৌস হাসান মিঠুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এবং অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জাকির হোসেনের স্ত্রী শাপলা খাতুন বাদী হয়ে বগুড়ার গাবতলী মডেল থানায় এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাবতলী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাকির হত্যার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামীদে দ্রুত গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৫ জানুয়ারী ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচন কালে দুপুরে গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউপির জাইগুলি ২নং ওয়ার্ডে গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জাকির ওই ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীক ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ডা. সাহিদুল ইসলামের কর্মী সমর্থক ছিলেন। এক সময় জাকির ভোট কেন্দ্র থেকে বাহিরে এলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১৫ জনের একটি দল তাকে রাম দায়ের কোপে গুরুতর আহত করেন। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জাকির গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি গ্রামের মৃত লয়া মিয়ার পুত্র। নিহত জাকির পেশায় একজন হাউস বিল্ডিং এর রং মিস্ত্রীর কন্টাক্টর ছিলেন। এছাড়াও তিনি নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকির তার নিজের নামে একটি জাকির লাইভ টিভি এ্যাকাউন্ট পেজ খুলে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ঘটনা ও সমস্যা তুলে ধরে অনলাইনে লাইভ অনুষ্ঠান করতেন। তার একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। এছাড়াও তিরি বিভিন্ন সামাজিক মুলক কর্মকান্ড ভিডিও আপলোড করতেন এবং ফেসবুক লাইভ করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি রামেশ্বারপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ডা. সাহিদুল ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন। এতে ডা. সাইদুলের প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান মিঠু তার ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়।
গত বুধবারের ভোটে ফেরদৌস হাসান মিঠুকে ভোটে পরাজিত করে ডা. সাহিদুল ইসলাম মেম্বার বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।