English

22 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

পিস্তল ছিনতাই মামলায় দুদু ও স্বপন ২ দিনের রিমান্ডে

- Advertisements -

পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও দলটি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Advertisements

সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে দুদুকে হাজির করা হয়। তবে কারাগার থেকে আসামি স্বপনকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত দেখানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রিমান্ড শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

Advertisements

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন থানায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

গত ৫ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে দুদুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে গত ৩ নভেম্বর স্বপনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওইদিন শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন