ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ১৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার এই দিন ঠিক করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবীর। এদিন মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে লালবাগ থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তাই প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটি করেন ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। নুঝাত ফারিয়া রোকসানা, মিম ইসলাম, নূর জাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতির বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নির্দেশে রাত ১০ টার সময় আসামি আনিকা তাবাসুম স্বর্ণাসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ বাদী জান্নাতুল ফেরদৌসের রুমে অনাধিকার প্রবেশ করেন। তখন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু জান্নাতুলকে না পেয়ে তার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং তার চিকিৎসার জন্য রাখা ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ (মূল্য ৩৪ হাজার টাকা) নিয়ে যান। রুমে বাকিদের জীবননাশের হুমকি দেন।’
‘খবর পেয়ে জান্নাতুল রুমে আসার পথে আয়শা হলের সামনে রিভা-রাজিয়াসহ ৮ আসামি তাকে ঘিরে ধরেন। তারপর চুলের মুঠি ধরে টেনেহিচড়ে ২নং গেটের গেস্টরুমের পাশে নিয়ে আসেন। এরপর আসামিদের কু-কর্মের কথা সাংবাদিকের কাছে বলার কারণ জিজ্ঞাসা করে তাকে গালিগালাজসহ কিলঘুষি, লাথি মেরে রক্তাক্ত ও জখম করেন।’
‘রিভা তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে তাকে আঘাত করেন। আর রাজিয়াসহ বাকি আসামিরা তার ওড়না খুলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলায় পেঁচিয়ে দুদিক থেকে টান দেন। জান্নাতুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত ভেবে আসামিরা তাকে ছেড়ে যান। পরে তার হাত থেকে ২০ হাজার টাকার রিয়েলমি-৭ প্রো, গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকার স্বর্ণের চেনসহ তার বোনের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকার রেডমি নোট-৭ ফোন নিয়ে নেন।’
‘পরে খবর পেয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাডামরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়’, বলা হয় অভিযোগপত্রে।