আলোচিত মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় এবার সাক্ষ্য দিলেন তার চাচা চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম। আজ বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত বলেন, ‘মামলাটিতে তিন্নির চাচা রেজাউল করিম সাক্ষ্য দিয়েছেন। যে ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে তিনি বর্ণনা দিয়েছেন।’ এর আগে, চলতি বছরের ৫ জানুযারি তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম সাক্ষ্য দেন।
এদিন সাক্ষী দেওয়ার জন্য তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে উপস্থিত হন। সাক্ষী মাহবুবুল হকের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর সাক্ষী রেজাউল করিমের জবানবন্দি শেষ হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। পরে আগামী ১৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরাণীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরাণীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এর পর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এর পর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে এ মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি। মামলাটির সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও আসামি গোলাম ফারুক অভি বিদেশে পলাতক রয়েছে।