রাস্তায় তারা চলেন পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে। তাদের আচরণে অতিষ্ঠ পথচারীরা। এতে প্রায়ই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উঠতি বয়সের বেপরোয়া এ বাইকারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ জুন) মোটরসাইকেলসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়। ভবিষ্যতে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল না চালানোর শর্তে রাতে অভিভাবকরা মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন তাদের।
পুলিশ জানায়, শিবালয়ে বিভিন্ন রাস্তার মোড় ও স্কুল- কলেজের সামনে উঠতি বয়সের ছেলেরা মোটরসাইকেল থামিয়ে আড্ডা দেয়। মেয়েদের ইভটিজিং করে। বেপরোয়া গতিতে সড়কে মোটরসাইকেল চালায় তারা। এসকল বাইকারদের বেশিরভাগেরই বয়স আবার ২০ বছরের নিচে।
সম্প্রতি উথুলী-পাটুরিয়া সংযোগ মোড়ে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় এক কিশোর বাইকার। এসময় প্রাইভেটকারটি সামনের অংশ ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল চালক ছিটকে পরে আহত হয়।
বেপরোয়া এ মোটরসাইকেল চালকদের রুখতে শুক্রবার শিবালয়ের উথলী সংযোগ মোড় ও বোয়ালি ব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবীর বলেন, ‘বেপরোয়া বাইকারদের ধরে থানায় আটকে রেখে অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। রাতে অভিভাবকরা থানায় এসে মুচলেকা দেন। ভবিষতে তাদের সন্তানরা আর বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাবে না ও মোড়ে মোড়ে আড্ডা দেবে না- এ শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়’।