সিলেটের বালাগঞ্জে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনের নামে মিথ্যা প্রচারণা ও সম্মানহানির অভিযোগে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক আবুল কাশেম এ নির্দেশ দেন। মামলার শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন তাহেরি।
এর আগে গত ২৪ মার্চ বালাগঞ্জের কয়েকজনসহ সিলেট, হবিগঞ্জ ও বি-বাড়িয়ার ১৫ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আবেদন করেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ পৈলনপুরের মইনুল ইসলাম, হাফিজ মুজিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারি জয়নাল আবেদীন,সিলেট অনলাইন টিভি নবীগঞ্জের রাজু আহমদ, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জ সদরঘাটের শেখ শাহজাহান, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী হবিগঞ্জ লাখাই মুড়াকুড়ির আব্দুল কুদ্দুছ নুরী, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী তপু তরফদার, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নিজাম আহমেদ আকরাম, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নিজাম উদ্দিন সিদ্দীকি, একে মিডিয়া সিলেট, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জের দেওপাড়া সাতাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম জালালি, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারি বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া তুলাই শিমুল গ্রামের শেখ রাসেল, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী বি-বাড়িয়া চারগাছ গ্রামের আবদুল ফরহার ছেলে মোরশেদ শাহ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার গুমগুমিয়া গ্রামের খালেদ আহমদের ছেলে এস.এ শামিম ও টিটিভি।
তাহেরি তার মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও বক্তা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বিভিন্ন ফেইসবুক, ইউটিউব ও ওয়েব সাইটে প্রচার করায় দেশসহ বিশ্বব্যাপী তার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। যার জন্য সমাজে চলাফেরা ও মুখ দেখানো লজ্জাকর হয়ে পড়েছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মইনুল ইসলামের সহযোগিতায় হাফিজ মুজিবুর রহমান, ক্বারি জয়নাল আবেদীন মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুন্নী সম্মেলনে মাওলানা তাহেরিকে দাওয়াত না করে, মানসম্মান ও খ্যাতি নষ্টের জন্য অনুমতি ব্যতীত পোস্টার প্রকাশ করে এবং ইসলামী সম্মেলনে ভিডিও করে জুতা মিছিল করে বিভিন্ন ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভাইরাল করা হয়। তখন হাফিজ মুজিবুর রহমান মানুষের সামনে তাহেরিকে জুতাপেটার কথা বলে আলেম সমাজের খ্যাতি নষ্ট করার কথা বলেন এবং এসব দ্রুত বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, তাহেরিকে ইসলামি সম্মেলনে উপস্থিত করানোর কথা বলে গ্রামবাসীকে বিশ্বাস করানোর জন্য পৈলনপুর মসজিদের ইমাম ও নুরী মিলে দুইটি বিকাশ নাম্বারে ত্রিশ হাজার ছয়শত টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেন্ড করেন। যা তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং একজন বক্তার মান-সম্মান নষ্ট করে তাকে দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়ের কাছে লজ্জিত করে।
আদালতের কাছে ন্যায় বিচারের স্বার্থে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন তাহেরি।