সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল জ্যাকবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব আসামি কামরুল ইসলামকে এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ আসামি জ্যাকবকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পর দিন রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আর গত ১ অক্টোবর আবদুল্লাহ আল জ্যাকবকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন হত্যাচেষ্টা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২০ নভেম্বর রুপনগর থানাধীন এলাকায় শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মঙ্গলবার ৮ দিনের রিমান্ড শেষে কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ধানমন্ডি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক আমজাদ হোসেন তালুকদার। আর জ্যাকবকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আরেক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুপনগর থানার উপ-পরিদর্শক মামুন মিয়া। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কামরুলের মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জ্যাকবের মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই রাজধানীর রুপনগর থানাধীন প্রবেশিকা মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শামীম হাওলাদার। তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীম মারা যান।
এ ঘটনায় শামীমের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার রুপনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় জ্যাকব এজাহারনামীয় ১২২ নম্বর আসামি।