অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁস হওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
নৈতিক স্খলনের দায়ে অধ্যক্ষকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গতকাল রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল এ রিট দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই রিটের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ভিডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ, তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব পড়বে।’
এর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য মনিরুজ্জামান খোকনের ফোনালাপ ফাঁস হয়। অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে অধ্যক্ষের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ফোনালাপটি গত ২৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই ফোনালাপের একপর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, ‘আমি কিন্তু গুলি করা মানুষ। রিভলবার নিয়া ব্যাগের মধ্যে হাঁটা মানুষ। আমার পিস্তল বালিশের নিচে থাকত। কোনো … বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি দেশছাড়া করব।’