ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ ১১০ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুজ্জামান ওরফে তাসকিন রাজু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ভাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কাওসার ভূঁইয়া ও হাবিবুর রহমান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফাইজুর রহমান, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান মুন্সী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহিন শেখ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি মোখলেচুর রহমান সুমন, ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর মুন্সী, আলগী ইউপি চেয়ারম্যান মম সিদ্দিক মিঞা, তুজারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান, ভাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক হবি ও বাকী মাতুব্বর, ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সনেট প্রমুখ। এছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে ভাঙ্গা উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি আতাউর রহমান কালুকে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কৈডুবী সদরদী রেল ক্রসিং সংলগ্ন সড়কে অবস্থানকালে আসামিরা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের হুমকি দেন। এসময় সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাতের নির্দেশে আসামিরা তাদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন প্রাণভয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকারীরা প্রাণ রক্ষার জন্য পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ও সাহাদাত হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। আসামির তালিকায় নাম রয়েছে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এমন তিন ব্যক্তি জানান, এ মামলায় আমাদেরকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আসামী করা হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানজিদ ফেরদৌস নিশু বলেন, আমাদের আন্দোলনে যারা হামলা করেছিল বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে তাদের ছবি রয়েছে। আমরা পুলিশের প্রতি অনুরোধ করেছি প্রকৃত অপরাধী যারা তাদের শাস্তি হোক। নির্দোষ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এই মামলা নিয়ে সুযোগ সন্ধানী কেউ যেন চাঁদাবাজী না করতে পারে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইন চার্জ মামুন আল রশিদ বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।