English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে এবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

- Advertisements -

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানকে ফেসবুকে গালিগালাজ করার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এস এম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. ময়না মিয়া এ মামলা করেন।

বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মুহিবুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ফেসবুকে লাইভে এসে এই দুজনই একে অপরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন। একজন অপরজনকে ‘চোর’ আখ্যা দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়াকে একমাত্র আসামি করে করা মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ নেতা ময়না মিয়া উল্লেখ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান একজন অসৎ, জনগণের অর্থ আত্মসাৎকারী দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক।

এদিকে, বিশ্বনাথ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র মুহিবুর রহমান বিশ্বনাথ তথা সিলেটের রাজনীতিতে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সুনামের অধিকারী।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ সৈনিক হিসেবে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তিনি দুইবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। গত ২৩ আগস্ট নুনু মিয়া নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মুহিবুর রহমানকে অপমান-অপদস্থ করতে গালিগালাজ করেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মুহিবুর রহমান সম্পর্কে মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে তার মানহানি করা হয়েছে। মেয়র মুহিবুর বহমান সম্পর্কে নুনু মিয়ার এই বক্তব্যে পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ ও তার সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মিছবাউর রহমান আলম বলেন, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, বিশ্বনাথে আমার মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে এ মামলার জবাব দেওয়া হবে।

এর আগে গত ২২ আগস্ট সরকারি বরাদ্দের নামে চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে নুনু মিয়া ও তার এপিএস দবিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জামাল আহমদ নামে এক যুবলীগ নেতা। এরপর ৩০ আগস্ট পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল হক।

বিশ্বনাথের দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা ও দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়া তাদের দ্বন্দ্ব এখন সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন