English

23 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

জবানবন্দি শেষে কারাগারে লিয়াকত আলী

- Advertisements -

মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন বরখাস্ত হওয়া পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে লিয়াকত জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুপুর থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে শুরু করেন আর বিকেলে শেষ করেন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
এর আগে সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য দুপুর ১২টার দিকে আদালতে নেওয়া হয়। সিনহা হত্যা মামলায় তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় লিয়াকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে এপিবিএনের তিন সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ।
একই মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত রিমান্ডে আছেন। গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে।
গত ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন বিকেলে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতসহ সাত পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মো. মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। পুলিশের দাবি, এ নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই। তবে আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
ওই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।
এদিকে, পুলিশের করা মামলায় দুই আসামি সিনহা রাশেদের দুই সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও অপর সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন